নিজস্ব প্রতিবেদক :
অনুমতি ছাড়া ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে ‘ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা আইন’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তথ্য এখন সবচেয়ে সোর্স। এটি রিসোর্স হিসেবে পরিগণিত হয়। তথ্য প্রয়োজনীয় উপকরণ।
যাতে এটা ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা কোনো ব্যক্তির তথ্য ব্যবহারে গোপনীয়তা বজায় নিশ্চিত করা। তিনি বলেন, এই আইনের আওতায় একটি উপাত্ত সুরক্ষা বোর্ড গঠন হবে। সেটা হবে সরকারের নির্দেশে। চার সদস্যের এই বোর্ড সব দেখাশোনা করবে। যেমন যারা উপাত্ত সংগ্রহ করবে তাদের জন্য অনুসরনীয় কিছু থাকবে। তথ্য বোর্ডের সংগে সমন্বয় রেখে তারা কাজ করবে। তিনি আরও বলেন, যারা তথ্য প্রক্রিয়াজাত করবে তারা বোর্ডের নিবন্ধন নিয়ে কাজ করবে।
খসড়া আইনটিতে জেল বা বড় কোনো শাস্তির বিধান না থাকলেও জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। সেখানে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি ছাড়া তথ্য ব্যবহার করলে আর্থিক জরিমানা গুণতে হবে তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কোনো তথ্যই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আবার অনুমতি পেলেও সেসব তথ্য ব্যবহার করতে হলে বিদ্যমান আইন মেনে ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ অনুমতি দিলেও ব্যবহারে আইন মানতে হবে। আইনটিতে ডিএনএ তথ্য বায়োমেট্রিক হিসেবে গণ্য হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সরকার তিন বছর ধরে উপাত্ত সুরক্ষা আইন করার জন্য কাজ করছে।
২০২২ সালের শুরুতে সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের প্রথম খসড়া প্রকাশ করে। সে খসড়া নিয়ে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন ও বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ জানান। এরপর কয়েক ধাপে খসড়ায় পরিবর্তন আনা হয়। জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর দপ্তরও গত বছর ১০ আগস্ট সরকারকে ১০টি পর্যবেক্ষণ দেয়।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা ও অংশীজনদের আপত্তির মুখে চলতি বছরের আগস্টে উপাত্ত সুরক্ষা আইনের আরেকটি খসড়া প্রকাশ করা হয়। যেখানে বিভিন্ন ধারা অনেকটা শিথিল করা হয়েছে। এরপর মন্ত্রিসভা সে আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিল।
https://slotbet.online/