• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
Headline
গাজীপুরে বনে জবরদখল উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে বেনজির কর্তৃক বনভূমি জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন গাজীপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত অক্সফোর্ড প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত এম এ বারী ক্যাডেট একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কলমেশ্বর প্রতিভা মডেল স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কেয়ার এডুকেশনস গাজীপুর ও এম এ বারি শিক্ষা পরিবারের যৌথ আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ কেয়ার এডুকেশনস গাজীপুর ও এম এ বারি শিক্ষা পরিবারের যৌথ আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ এ কে এম উচ্চ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত এস এম সুলতান ল্যাবরেটরি স্কুল এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা বাস্তবায়নে আবারও আ. লীগকে নির্বাচিত করার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

রিপোর্টারের নাম / ৪৫ টাইম:
আপডেট: শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘উন্নয়নশীল দেশ’র মর্যাদা বাস্তবায়ন এবং ‘অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ’ শেষ করার জন্য আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার জন্য দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, কেননা, অন্য কোন দলে এমন দেশপ্রেম নেই। তিনি বলেন, আজকে তাঁর সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় তুলে এনেছে। যেটার বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এটা বাস্তবায়ন করতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকেই জয়ী করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এটা আওয়ামী লীগই পারবে অন্য কেউ পারবে না।

কারণ, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) কোন দেশপ্রেম বা মানুষের প্রতিও কোন দায়িত্ববোধ নাই। গতকাল শনিবার বিকেলে মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের মাঠে মহেশখালী আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় এবং মানুষের জন্য কাজ করে, উল্লেখ করে বিএনপি’র প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর অন্য একটি দল আছে এরা মানুষের সম্পদ লুটে খায়। এরা খুন, হত্যা, বোমাবাজী, গ্রেনেড হামলা, অর্থপাচার, অস্ত্র চোরাকারবারী-এগুলোই জানে।

মানুষের কল্যাণে তারা কাজ করতে জানে না। তিনি বলেন, বিগত ১৫ বছরে তাঁর সরকার দেশের যে উন্নয়ন করেছে তা নবীন প্রজন্মেও অনেকেই বুঝবে না কারণ তারা দেখেনি, কোন দুরাবস্থা থেকে বাংলাদেশ আজকের সম্মানজনক অবন্থানে এসেছে।

আজকে বাংলাদেশ বদলে যাওয়া এক দেশ, কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে। প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেন, আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন বলেই আমরা ক্ষমতায় আছি।

তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচন, সেই নির্বাচনেও আমি চাইব নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও আপনাদের সেবা করার ও যেসব কাজ অসমপ্ত রয়েছে সেগুলো শেষ করার সুযোগ দেবেন।

আপনারা কি নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন?- প্রধানমন্ত্রীর এ প্রশ্নের উত্তরে উপস্থিত জনসমুদ্র সমস্বরে দুই হাত তুলে সমস্বরে সম্মতি জানায়। দূর দূরান্ত ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চল থেকে নৌকা, ট্রলার বা পায়ে হেঁটে কষ্ট করে তাঁর জনসভায় যোগ দেয়ায় উপস্থিত জনগণকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর সাম্প্রতিক মক্কা-মদীনা সফরের উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে যেন আর কষ্ট করতে না হয় তারা যেন সুন্দর জীবন পায় সেজন্য সেখানে তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করেছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও ড. হাছান মাহমুদ সমাবেশে বক্তৃতা করেন। আরও বক্তব্য রাখেন মহেশখালী ও কুতুবদিয়া আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার পাশা চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।

সরকার কক্সবাজারের সঙ্গে দেশের অন্যান্য অংশের রেল সংযোগ স্থাপন করবে: এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে নবনির্মিত কক্সবাজার রেল স্টেশনের ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে আইকনিক কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনের সাথে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার রেল যোগাযোগের মাধ্যমে সমগ্র দেশকে কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত করার পাশাপাশি রেল পরিষেবা, গতি ও পরিবহনকে বিশ্বমানের করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

তিনি বলেন, আমরা সমগ্র বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার (রেল সংযোগের মাধ্যমে) যাত্রা সহজ করতে ব্যবস্থা নেব। এর মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সরাসরি রেল যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলো।

তিনি বলেন, তিনি নিজেসহ দেশবাসী এখন কক্সবাজার থেকে পঞ্চগড়, রাজশাহী, দেশের দক্ষিণাঞ্চল, সুন্দরবন পর্যন্ত রেলপথ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। মজার সুরে তিনি আরও বলেন, কেন গোপালগঞ্জ ও টুঙ্গিপাড়াকে ছেড়ে দেওয়া হবে (রেল সংযোগ থেকে) তার মানে সারা বাংলাদেশ কক্সবাজারের সঙ্গে যুক্ত হবে। সরকার প্রধান বলেন, কক্সবাজারের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপন করায় দেশের মানুষ এখন গর্ববোধ করছে।

তিনি বলেন, আজকে কক্সবাজার রেল যোগাযোগের সাথে যুক্ত হয়েছে। এই দিনটি গর্বিত হওয়ার দিন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থাকতে পেরে সত্যিই খুব খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, আমি রেলপথ উদ্বোধন করে আমার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছি। এটা এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।

আজ সেই দাবি পূরণ হয়েছে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের কার্যক্রম এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী রেলস্টেশনে পৌঁছালে স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানানো হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, পঞ্চগড় থেকে কক্সবাজার অথবার রাজশাহী থেকে কক্সবাজার, দক্ষিণাঞ্চল সুন্দরবন থেকে কক্সবাজার এমনটি গোপালগঞ্জ-ফরিদপুর অর্থাৎ সমগ্র বাংলাদেশ থেকেই যাতে সহজে কক্সবাজার আসা যায় সেই পদক্ষেপও আমরা নেব। এই যোগাযোগগুলো সম্পন্ন হলে আমাদের পর্যটনের ক্ষেত্রে একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে আমি বিশ^াস করি। তিনি ছোটবেলা থেকেই স্থানীয় একটি দাবি শুনে এসেছেন চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্ত রেললাইন ছিল। কাজেই এই দোহাজারী থেকে কক্সবাজার কবে রেললাইন আসবে? সেকথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকে এটা করতে পারায় তিনি খুবই আনন্দিত। এটা রামু পর্যন্ত করা হয়েছে এবং গুমধুম পর্যন্ত করার কথা।

এজন্য আমরা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যমে আসতে চাই। ট্রান্সএশিয়ান রেলওয়ের সাথে আমরা সংযুক্ত হতে চাই। সেটা মাথায় রেখেই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তায়নের সময় ৩৯টি মেজর ব্রীজ করতে হয়েছে, ২৪৪টি ছোটও মাঝারি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে, ৯টি স্টেশন ও আধুনিক কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত সিগনালিং ব্যবস্থা ইনস্টল করা হয়েছে। একটি ওভারপাস ও দু’টি আন্ডারপাস ও নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রেললাইনটা চকোরিয়া থেকে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও পাওয়ার পাøান্ট এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে যাতে সংযুক্ত হয় তার ব্যবস্থাও আমরা করে দেব। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো উন্নত হয়। তিনি বলেন, তাঁর সরকার ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মিলে সম্প্রতি খুলনা থেকে মোংলা পোর্ট পর্যন্ত ব্রডগেজ রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছে। যে লাইনটা একসময় খালেদা জিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল।

পাশাপাশি ঢাকা- টঙ্গি-গাজীপুর ডুয়েল গেজ লাইনও নির্মাণ করা হচ্ছে। রেলের যাত্রীসেবা ও পণ্য পরিবহনের মানোন্নয়নে আরো ৪৬টি নতুন ব্রডগেজ লোকামোটিভ, ৪৬০টি নতুন যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ২০০টি নতুন মিটার গেজ যাত্রীবাহী ক্যারেজ, ১৩১০টি নতুন ওয়াগন সরবারহের উদ্যোগও তাঁর সরকার হাতে নিয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী ৩/৪ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সক্ষমতা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যাতে উন্নীত হয় সেই পদক্ষেপই আমরা নিয়েছি এবং সেটা আমরা বাস্তবায়ন করবো।

বিগত ১৫ বছরের বাংলাদেশকে তাঁর সরকার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে সক্ষম হয়েছে এবং প্রবৃদ্ধি বেড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি আমলে যেখানে ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট ছিল সেখানে তাঁর সরকার এবার ৭ লাখ ৬১ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছে। এমনকি দু’হাতে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করে করোনাকালিন জনগণকে বিনাপয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়ার পাশাপাশি সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা ও প্রণোদনা দিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রেখেছে। যা অনেক উন্নত দেশও পারেনি। ফলে সেখানে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। এ সময় বিশ^মন্দার প্রভাবে দেশে যেন কখনো খাদ্যাভাব না হয় সেজন্য দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় নিয়ে আসার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।

এ সময় এত উন্নয়নের পরও যারা উন্নয়ন দেখে না সেসব চোখ থাকতে অন্ধদের তাঁর সরকারের করে দেওয়া আধুনিক জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটে ১০ টাকার টিকিট কিনে চোখের চিকিৎসা করাবার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, আসলে এটা তাদের চোখের দোষ নয়, মনের দোষ। আজকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, বাসে, রেলে আগুন দেওয়া হচ্ছে।

আমরা রেলের জন্য যেসব নতুন লোকামোটিভ এনেছিলাম সেগুলোও আগুন দিয়ে তারা পুড়িয়েছে। যারা এত বীভৎস কাজ করতে পারে এই দুর্বৃত্তপরায়ণতায় যারা জড়িত তাদের চোখ নয় আসলে মনই অন্ধকার। কাজেই এদের ব্যাপারে সকলকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এরা ধ্বংস জানে সৃষ্টি করতে পারে না। আমরা সৃষ্টি করি, আর তারা ধ্বংস করে।

কিন্তু এই ধ্বংস যেন আর করতে না পারে। মানুষকে পুড়িয়ে মারবে এটা সহ্য করা যায় না। তিনি এই আধুনিক রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে কার্যকরী এবং গতিশীল রাখতে ট্রেনের ক্যারেজ, প্লাটফর্ম, ষ্টেশনসহ আশাপাশে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন বজায় রাখার এবং এগুলো ব্যবহারে যতœবান হওয়ারও আহবান জানান। সরকার প্রধান বলেন, আপন সম্পদ মনে করে যতœ নিয়ে এর ব্যবহার করবেন। সারা বাংলাদেশে অনেক রেলস্টেশন রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারের এই ৬ তলা রেলস্টেশনটি সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও সুন্দর। রেল লাইন উদ্ধোধনের পর প্রধানমন্ত্রী নিজেই টিকিট কেটে কক্সবাজার থেকে রামু যাওয়ার ট্রেনে চড়েন।

প্রধানমন্ত্রীর হুইসেল ও সবুজ পতাকা নেড়ে ট্রেন চলাচলের যাত্রা শুরু করেন। েেন চড়ে সংবাদ মাধ্যমের সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে প্রতিটি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাঁর চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। দেশ ও জনগণের উন্নয়নই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য উল্লেখ করে সারাদেশে পর্যটন রেল ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশের পর্যটন শিল্পকে আরো বিকশিত করার পরিকল্পনাও তাঁর সরকারের রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

গভীর সমুদ্রবন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট অবদান রাখবে: এদিকে শনিবার বিকেলে মহেশখালী গভীর সমুদ্র বন্দর চ্যানেলের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে এখানকার গভীর সমুদ্র বন্দর দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাতারবাড়ির গভীর সমুদ্র বন্দরটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রাখবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে বড় জাহাজ সরাসরি বিদেশি সমুদ্র বন্দরে যেতে পারবে এবং পণ্য লোড-অফলোড করা আরও সহজ ও সস্তা হবে এবং সময় সাশ্রয় হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ শুধু নয় নেপাল, ভুটান এবং ভারতও এই বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। তিনি বলেন, এই ধরনের ব্যবহারে আমরা আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে গভীর সমুদ্র বন্দরকে আরও কার্যকর করতে পারি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ
https://slotbet.online/