• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
Headline
গাজীপুরে বনে জবরদখল উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে বেনজির কর্তৃক বনভূমি জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন গাজীপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত অক্সফোর্ড প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত এম এ বারী ক্যাডেট একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কলমেশ্বর প্রতিভা মডেল স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কেয়ার এডুকেশনস গাজীপুর ও এম এ বারি শিক্ষা পরিবারের যৌথ আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ কেয়ার এডুকেশনস গাজীপুর ও এম এ বারি শিক্ষা পরিবারের যৌথ আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ এ কে এম উচ্চ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত এস এম সুলতান ল্যাবরেটরি স্কুল এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

কিউলেক্স মশার উৎপাতে অতিষ্ট রাজধানীবাসী

রিপোর্টারের নাম / ৮৫ টাইম:
আপডেট: সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
অতীতের যেকোনো বছরের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে চলতি বছরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি। রাজধানী জুড়ে মশার উপদ্রবের পাশাপাশি এখন নতুন করে যুক্ত হয়েছে কিউলেক্স মশার উৎপাত, যা নগরবাসীর মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। নাগরিকদের অভিযোগ, মশা নিধনের কাজ ঠিকভাবে করছে না ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন- ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। ফলে বছরজুড়ে এডিস ও কিউলেক্স মশার বিস্তার ঘটছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তবে দুই সিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, মশা নিধনে বছরজুড়েই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তারা। কিন্তু তারপরও মশা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না। আগে শুধু বর্ষা মৌসুমে এডিস মশা জন্মাতো। এখন দেখা যায়, সারা বছরই মানুষের ডেঙ্গু হচ্ছে। আবার শুষ্ক মৌসুমের এডিস মশা বর্ষায় জন্মাচ্ছে। তারপরও এসব বিষয় মাথায় রেখে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেটে নগরীতে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম এবং এ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি কিনতে ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যয় করা হয়েছিল ৬৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ টাকা দিয়ে ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে ডেঙ্গু নিধনে জনসচেতনতা তৈরিতে ডিএনসিসির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) ও জাতীয় স্কাউট দল। মূলত, তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম ও জনসচেতনতা সৃষ্টির কাজ করছে। এছাড়া যেসব ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে, তাদের জরিমানা করছে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া মসজিদের ইমাম, স্কুল-মাদরাসা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়েও জনসচেতনতামূলক কর্মকা- পরিচালনা করছে সংস্থাটি। গত ২৩ জুলাই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে গবেষণার জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছে ডিএনসিসি। সমঝোতার আওতায় ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন কীটনাশকের কার্যকারিতা এবং মশার ঘনত্ব ও প্রজাতি বিশ্ববিদ্যালয়টির ল্যাবে পরীক্ষা করা হবে। আর পরীক্ষার মাধ্যমেই মশা নিধনে কীটনাশক প্রয়োগ ও যেকোনো ডিভাইসের ব্যবহার করে মশা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া স্কুল পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ে জনসচেতনতামূলক অধ্যায় যুক্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব করেছে ডিএনসিসি। এর মধ্যে স্কুল-কলেজে মশা নিধনে সচেতনতায় এক লাখ কার্টুন বই ফ্রি বিতরণ করেছে সংস্থাটি। তবে এত কর্মসূচি বা উদ্যোগের পরও ঢাকা শহরে মশার প্রাদুর্ভাব কমছে না বলে অভিযোগ নাগরিকদের। তাদের দাবি, আগে শুষ্ক মৌসুমে মশার আতঙ্ক ছিল। এখন সারা বছরই এডিস ও কিউলেক্স মশার আতঙ্কে থাকতে হয়। বর্ষা শেষ হতেই মশার উপদ্রব বাড়ছে। বিশেষত, সন্ধ্যায় দরজা-জানালা বন্ধ রাখলেও মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হতে হয়। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, মশা নিধন নিয়ে ডিএনসিসির আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই। কিন্তু এত বড় কার্যক্রম নাগরিকদের সচেতনতা ছাড়া সফল করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে উত্তর সিটি করপোরেশনের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও বছরজুড়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নানা কর্মসূচি পালন করেছে। ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানোসহ জনসচেতনামূলক কার্যক্রম চলছে। এখন এডিস মশা নিয়েও সমান গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। তবে ডিএনসিসির তুলনায় তাদের কর্মসূচি বা কার্যক্রম কম বলে দাবি নাগরিকদের। ডিএসসিসির স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএসসিসির ৭৫টি ওয়ার্ডে সারা বছরই নানা কর্মসূচি পালন করা হয়। এরই অংশ হিসেবে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও জরিমানা করা হচ্ছে। তবে ডিএসসিসির তালিকা অনুযায়ী এখন জুরাইন, যাত্রাবাড়ী, মুগদাসহ ঢাকার আশপাশের এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি। এসব এলাকার বাসিন্দাদের দাবি সিটি করপোরেশনের লোকজন তেমন কাজ করে না। মশার উপদ্রবে এ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তবে নাগরিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে ডিএসসিসি এলাকায় সবসময় মশা নিধনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে শামসুল কবির। তিনি বলেন, এডিস ও কিউলেক্স নিয়ন্ত্রণে বছরব্যাপী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ডিএসসিসি। সে অনুযায়ী কার্যক্রম চলছে। তবে এখন যেসব এলাকায় মশা বেশি সেখানে জনবল বাড়ানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন ডোবা-নালা, ড্রেন, ঝিল বা খালে পানি কমে যাচ্ছে। সেখানে নোংরা পানিতে কিউলেক্স জন্মাচ্ছে। ফলে এখন থেকে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত কিউলেক্স মশা বাড়তে থাকবে। মার্চে মশার উপদ্রব সবচেয়ে বেশি বাড়বে। এজন্য সিটি করপোরেশনকে আগে থেকেই মশা নিধনে গুরুত্ব দিতে হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ
https://slotbet.online/