• সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন
Headline
গাজীপুরে বনে জবরদখল উচ্ছেদে উচ্চ আদালতের নির্দেশ বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন গাজীপুরে বেনজির কর্তৃক বনভূমি জবরদখলের অভিযোগে মানববন্ধন গাজীপুর কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশন এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত অক্সফোর্ড প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত এম এ বারী ক্যাডেট একাডেমির বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কলমেশ্বর প্রতিভা মডেল স্কুল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত কেয়ার এডুকেশনস গাজীপুর ও এম এ বারি শিক্ষা পরিবারের যৌথ আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ কেয়ার এডুকেশনস গাজীপুর ও এম এ বারি শিক্ষা পরিবারের যৌথ আয়োজনে গাজীপুরে অনুষ্ঠিত হলো গণিত উৎসব ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ২০২৪ এ কে এম উচ্চ বিদ্যালয় এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত এস এম সুলতান ল্যাবরেটরি স্কুল এর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

বেনাপোলের রেলপথে এ বছর রাজস্ব ঘাটতি ১৩ কোটি ৭৫ লাখ

রিপোর্টারের নাম / ৭১ টাইম:
আপডেট: মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক :
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে বাণিজ্য কমে যাওয়ায় সরকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৭ টাকা। গত বছরের ১১ মাসের তুলনায় এ বছর ১১ মাসে আমদানির পরিমাণ কমেছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন। এ সময় পণ্যবাহী ওয়াগনের সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৬৭৭টি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিকে বৈশ্বিক মন্দা, অন্যদিকে রেলস্টেশনে ইয়ার্ড আর পণ্যাগার সংকট এ পরিস্থিতির মুখোমুখি করে দিয়েছে। তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, বাণিজ্য সম্প্রসারণে অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশের ১৩টি বন্দরের সঙ্গে ভারতের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর মধ্যে একমাত্র বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে সড়ক ও রেলপথে পণ্য পরিবহন হয়। করোনার আগে রেলে শুধু পাথর ও জিপসাম জাতীয় পণ্য আমদানি হতো। তবে করোনার কবলে পড়ে ২০২০ সালে যখন সড়ক পথে আমদানি বন্ধ হলো, তখন সরকারের প্রচেষ্টায় রেলে গার্মেন্টস, কেমিকেল, খাদ্যদ্রব্যসহ সব ধরনের পণ্য আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাতে সময় ও খরচ সাশ্রয়ের কারণে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বাড়ে রেলপথে। বর্তমানে আরও বেশি পণ্য আমদানির চাহিদা থাকলেও একদিকে বৈশ্বিক মন্দা, অন্যদিকে রেলের দুর্বল অবকাঠামোয় বাণিজ্য ও রাজস্ব ঘাটতি বাড়ছে। রেলওয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ২০২২ সালে রেলপথে ভারত থেকে ৮ হাজার ৬৭৫টি ওয়াগনে ৩ লাখ ৭৬ হাজার ৪৮৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ সময় সরকারের রাজস্ব এসেছে ২০ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার ৬২৪ টাকা। আর ২০২৩ এসে ২ হাজার ৯৯৮টি ওয়াগনে আমদানি হয়েছে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার ৫৫৮ মেট্রিক টন। তাতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮১ হাজার ৯০৭ টাকা। ২০২২ সালের ১১ মাসের তুলনায় ২০২৩ সালের ১১ মাসে পণ্য পরিবহনে ওয়াগনের সংখ্যা কমেছে ৫ হাজার ৬৭৭টি। তাতে আমদানি কমেছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৬ মেট্রিক টন এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে ১৩ কোটি ৭৫ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৭ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, যশোর-নড়াইল-ভাঙ্গা রেলপথ চালু হলে পদ্মা সেতু হয়ে রেলে পণ্য পরিবহন আরও বাড়বে। তাই রেলে কনটেইনার টার্মিনালসহ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো জরুরি ভিত্তিতে সম্প্রসারণ করতে হবে। পণ্যবাহী ট্রাকচালক সিপন রহমান বলেন, রেল স্টেশনে ইয়ার্ড না থাকায় বৈরী আবহাওয়ায় পণ্য খালাস করতে পারি না। তাতে কলকারখানার কাঁচামাল দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি হয়। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহামুদ বিপুল বলেন, রেলপথে খরচ কম ও সাশ্রয়ের কারণে এ পথে বাণিজ্যে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেশি। তবে দুর্বল অবকাঠামোর কারণে ব্যবসায়ীরা বাণিজ্যে আগ্রহ হারাচ্ছেন। রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে সরকারকে আরও আন্তরিক হওয়ার দাবি জানাচ্ছি। সামনে পদ্মা সেতুতে পণ্য পরিবহনে বাণিজ্যিক রেল চালু হবে। এর আগে অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা দরকার। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আবদুল লতিফ জানান, সামনে পদ্মা সেতু দিয়ে পণ্য পরিবহনে বাণিজ্যিক রেল চালু হবে। তার আগে অবকাঠামো সম্প্রসারণ করা দরকার। বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, বেনাপোল রেল স্টেশনে ট্রেন দাঁড়ানোর জন্য লাইন সম্প্রসারণ করতে হবে। এ ছাড়া কনটেইনার টার্মিনাল না থাকায় পণ্য খালাসে বেগ পেতে হয়। বেনাপোল ট্রাক ট্রান্সপোর্ট মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ট্রেনে আমদানি সহজ ও সাশ্রয়ী হলেও জায়গার অভাবে পণ্য খালাসের জন্য দিনের পর দিন ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকছে। তাতে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে বেনাপোল রেল স্টেশন মাস্টার সাইদুর রহমান বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে কার্গো রেল, পার্সেল ভ্যান ও কনটেইনারের মাধ্যমে পণ্য আমদানি হচ্ছে। বৈশ্বিক মন্দা রাজস্ব ঘাটতির জন্য কিছুটা দায়ী। আর ব্যবসায়ীরা অবকাঠামো নির্মাণের যে দাবি জানিয়েছেন, তা খুব দ্রুত শুরু করা হবে। এরইমধ্যে কিছু কাজ শুরু হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ
https://slotbet.online/